Posts

Showing posts from 2019

শৈশবের কিছু কথা

Image
বড় হওয়ার সাথে সাথে একটা জিনিস খুব তারাতাড়ি হারিয়ে যায় আর সেটা হচ্ছে অতীত। অতীত মানুষের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অতীতের মাঝেই হারিয়ে দুরন্তপনার শৈশব। একসময় হয়তো চার ছক্কা খেলার কৈশোরটাও হারিয়ে যায় এই অতিতের ভীরে। কর্মব্যাস্ত জীবনের একটু খাপ ছেড়ে প্রকৃতির স্নিগ্ধতা গায়ে মাখানোর সাথে অনেকেই হারিয়ে যান অতীতে। সবাই অকপটে স্বীকার করতে রাজি যে অতীতের সবচেয়ে সোনালী সময় হচ্ছে শৈশব। গোল্লাছুট, মাটি দিয়ে কত কি বানানো, ছোট মনে কত আকাশ কুসুম ভাবনা। এছাড়াও রয়েছে মায়ের মিষ্টি শাসন। কোলাহলপূর্ন এই জীবনে কে না চাইবে একটু শৈশব থেকে ঘুরে আসতে? কার না মন চায় শীতের ছুটিতে আবারও খোলা আকাশের নিচে ঘুড়ি উড়াতে? কিন্তু চাইলেও কি আর তা ফিরে পাওয়া যাবে? কখনোই না! আমার আজও মনে পড়ে লুকিয়ে লুকিয়ে মিষ্টি খাওয়ার কথা। মনে পড়ে ধানের খড়ের স্তুপকে কেন্দ্র করে খেলনা পিস্তল দিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার কথা। যার গায়ে বুলেট পড়তো সে সেখানেই শেষ। সাইকেলের টায়ার চালানোর দীনগুলো খুব মনে পড়ে। বেশ কয়েকবার টায়ার চালানোর অদক্ষতায় পুকুরে ভাসাতে হয়েছে। গুলতি দিয়ে পাখি শিকার করে বাসায় এনে যে বকাটাই না খেয়েছিলাম আম্মুর

কে ছিলেন শেখ এদেবালি রহঃ

Image
যারা অটোম্যান সম্রাজ্যের নাম শুনেছেন এবং সুলতান উসমান গাজীর পরিচয় জেনেছেন তারা নিশ্চয়ই শেখ এদেবালির নামটাও শুনে থাকবেন। আজকে বলছি শেখ এদেবালির পরিচয় সম্পর্কে কিছু কথা। শেখ এদেবালির পরিচয়ঃ (জন্মঃ১২০৬) শেখ এদেবালি রহঃ ছিলেন একজন তুর্কী সূফী। যিনি বালিয়াহ নামেও পরিচিত। যিনি ছিলেন উসমানীয় সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উসমান গাজীর বাবা আরতুগ্রুল গাজীর বন্ধু এবং উসমান গাজীর সহধর্মিণী রাবেয়া বালা হাতুনের পিতা। অর্ঘুজ বংশধরদের মধ্যে তিনি ছিলেন খুব প্রভাবশালী একজন সূফী। শেখ এদেবালি আরবের বনু তামিম গোত্রের একটি বংশধর (আরবি: بنو تميم) এবং আল খাতার(আরবি: خاطر) বংশের লোক ছিলেন । এবং সেই যুগের মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় মহলে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন । শেখ এদেবালি রহঃ ও আরতুগ্রুল গাজীঃ শেখ এদেবালি রহঃ এর সাথে আরতুগ্রুল গাজীর অনেক ভালো বন্ধুত্ব ছিলো। আরতুগ্রুল গাজী শেখ এদেবালিকে অনেক শ্রদ্ধা করতো। তিনি ছিলেন সে সময়ের একজন বিজ্ঞ আলেম। আরতুগ্রুল গাজী প্রায় সময়ই শেখ এদেবালির কাছে বিভিন্ন পরামর্শ করতে যেতেন। মুসলিম বিশ্বের অবস্থা সম্পর্কেও তারা পরামর্শ  করতেন।  হতেএছাড়াও আরতুগ্রুল গাজী পুত্র উসমান

সিলেটে ১৩ দিন

Image
১ম পর্ব রসায়ন প্রাইভেট ছিল সেদিন। স্যার না আসাতে পুরো তালে মহিলাদের মতো প্যানপানানি চলছিল। যদিও মহিলাদের মতো অনর্থক কথা হচ্ছিলো না তবুও বলবো স্যারদের ভাষ্যমতে এটা একধরনের মহিলাদের প্যানপানানি। যাইহোক এক পর্যায়ে আমার দুবছর ধরে লালিত স্বপ্নের কথা নাঈমকে জানালাম। যে এবার এসএসসির বন্ধে আমি সিলেট যাবো। একপর্যায়ে নাঈম বললো তারাও নাকি সিলেট যাবে তাদের আন্টির বাসায়। কিন্তু আমি অতোটা কেয়ার করি নি। কিন্তু পরে আবার এ বিষয়ে কথা তুলে বললো তাদের সাথে সিলেট যাওয়ার জন্য। আমি মৌনসম্মতি দিয়েছিলাম। যাইহোক পরীক্ষা দিলাম ভালোয় ভালোয়। ১২ মার্চ নাঈম বারবার কল দিয়ে বলছিলো যে সে নাকি সিলেটের আন্টিদের বলে রেখেছে। রাত ৮ টা পর্যন্তও আমি কনফার্ম ছিলাম না যাবো কি যাবো না ? অবশেষে মন সায় দিল আম্মুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। তখন ছিলাম গ্রামে , রাত নয়টায় গাড়ি পাওয়াটা দু সাধ্য হলেও আমার সিদ্ধান্তের কাছে গাড়ি হার মেনেছিলো। চলে আসলামথ ৮ কিলোমিটার দূর