শৈশবের কিছু কথা
বড় হওয়ার সাথে সাথে একটা জিনিস খুব তারাতাড়ি হারিয়ে যায় আর সেটা হচ্ছে অতীত। অতীত মানুষের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অতীতের মাঝেই হারিয়ে দুরন্তপনার শৈশব। একসময় হয়তো চার ছক্কা খেলার কৈশোরটাও হারিয়ে যায় এই অতিতের ভীরে। কর্মব্যাস্ত জীবনের একটু খাপ ছেড়ে প্রকৃতির স্নিগ্ধতা গায়ে মাখানোর সাথে অনেকেই হারিয়ে যান অতীতে।
সবাই অকপটে স্বীকার করতে রাজি যে অতীতের সবচেয়ে সোনালী সময় হচ্ছে শৈশব। গোল্লাছুট, মাটি দিয়ে কত কি বানানো, ছোট মনে কত আকাশ কুসুম ভাবনা। এছাড়াও রয়েছে মায়ের মিষ্টি শাসন। কোলাহলপূর্ন এই জীবনে কে না চাইবে একটু শৈশব থেকে ঘুরে আসতে?
কার না মন চায় শীতের ছুটিতে আবারও খোলা আকাশের নিচে ঘুড়ি উড়াতে? কিন্তু চাইলেও কি আর তা ফিরে পাওয়া যাবে?
কখনোই না!
আমার আজও মনে পড়ে লুকিয়ে লুকিয়ে মিষ্টি খাওয়ার কথা। মনে পড়ে ধানের খড়ের স্তুপকে কেন্দ্র করে খেলনা পিস্তল দিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার কথা। যার গায়ে বুলেট পড়তো সে সেখানেই শেষ।
সাইকেলের টায়ার চালানোর দীনগুলো খুব মনে পড়ে। বেশ কয়েকবার টায়ার চালানোর অদক্ষতায় পুকুরে ভাসাতে হয়েছে।
গুলতি দিয়ে পাখি শিকার করে বাসায় এনে যে বকাটাই না খেয়েছিলাম আম্মুর হাতে! তা কি কখনো ভুলা যাবে?
এইতো সেদিন মেলায় যাওয়ার জন্য বায়না ধরেছিলাম। কিন্তু টাকা ছিলো না। আর তখনই সবার কাছে হাত পেতে মেলার বকসিস নিয়েছিলাম। কিন্তু আজও মেলায় যাওয়া হয় কিন্তু বকসিস নেওয়া হয়না। ছোটমামার সাথে শাপলা না পরিবার এই খেলায় কতবার যে ঠকেছি তার ইয়ত্তা নেই।
ক্লাস ফোরে পড়ি তখন ছোট একটা দোকান দিয়েছিলাম। আখের সিজনে ৩০টাকার আখ কিনে ১০০ টাকা লাভ করেছিলাম। সেই সোনালী দিনগুলো কি কখনও ভুলার মতো?
কখনোই নয়!
দুষ্ট মিষ্টি আবেগের ঘনগটাই কৈশোর। কৈশোর আসলেই অনুভূত হয় একাকীত্বের নতুন টিটকারি। আর এটা সম্ভবত প্রত্যেক মানুষের মধ্যে হয়ে থাকে। মনে হয় যেন রাজ্যের গভীরতা বুকের ভিতর। আর হয়তো এ কারনেই মানুষ খুঁজে নেয় তার জীবন সঙ্গীনিকে।
ইনশাআল্লাহ অন্য একদিন বলবো কৈশোর স্বল্প সময়ে ঘটে যাওয়া আবেগিক কিছু বিষয়,,,
Comments
Post a Comment