বাগদাদের সেই পাগল বহলুল

আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো দুটি শিক্ষনীয় গল্প,,,
আব্বাসী খলীফা হারুনুর রশীদ (৭৬৩-৮০৯খ্রি.) এর শাসন আমলে (৭৮৬-৮০৯খ্রি.) বাহলুল নামে এক পাগল ছিল।
তিনি যদিও পাগল ছিলেন না। তিনি ছিলেন তখনকার সময়ের জ্ঞানী একজন ব্যাক্তি। কিন্তু তিনি অভিনয় করতেন পাগল সাজার। কারন তাকে খলিফা হারুনুর রশীদ চেয়েছিলেন বিচারকের দায়িত্ব দিতে। কিন্তু তিনি এ দায়িত্ব গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতেই পাগলের ভাণ ধরেন।
আব্বাসীয় খলীফা হারুনুর রশীদের সাথে ঘটে যাওয়া যে শিক্ষনীয় ঘটনা আজো ইতিহাসের পাতায় বয়ে বেরাচ্ছে। তা আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করবো।
বহলুল পাগল যিনি যে অধিকাংশ সময় কবরস্থানে কাটাতো।
কবরস্থানে থাকা অবস্থায় একদিন বাদশাহ হারুনুর রশীদ তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
বাদশাহ তাকে ডাক দিলেন: বাহলুল! ওই পাগল! তোর কি আর জ্ঞান ফিরবে না?
বাহলুল বাদশাহর এ কথা শুনে নাচতে নাচতে গাছের উপরের ডালে চড়লেন এবং সেখান থেকে ডাক দিল-
হারুন! ওই পাগল!
তোর কি কোনদিন জ্ঞান ফিরবে না?
বাদশাহ গাছের নিচে এসে বাহলুলকে বললেন, আমি পাগল নাকি তুই, যে সারা দিন কবরস্থানে বসে থাকে?
বাহলুল বলল, আমিই বুদ্ধিমান।
বাদশাহ: কীভাবে?
বাহলুল রাজপ্রাসাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বললেন, আমি জানি এই রঙ্গীলা দালান ক্ষণিকের আবাসস্থল, এবং এটি (কবরস্থান) স্থায়ী নিবাস;এজন্য আমি মরার পূর্বেই এখানে বসবাস শুরু করেছি। অথচ তুই গ্রহণ করেছিস ঐ রঙ্গশালাকে আর এই স্থায়ীনিবাসকে (কবর) এড়িয়ে চলছিস। রাজপ্রসাদ থেকে এখানে আসাকে অপছন্দ করছিস ,যদিও তুই জানিস এটাই তোর শেষ গন্তব্য।
এবার বল, আমাদের মধ্যে কে পাগল?
বাহলুলের মুখে এ কথা শোনার পর বাদশাহর অন্তর কেঁপে উঠল, তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁর দাড়ি ভিজে গেল।
তিনি বললেন: খোদার কসম! তুমিই সত্যবাদী।
আমাকে আরও কিছু উপদেশ দাও!
বাহলুল: তোমার উপদেশের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট। তাকে যথার্থভাবে আকড়ে ধর।
বাদশাহ: তোমার কোন কিছুর অভাব থাকলে আমাকে বল, আমি তা পূরণ করব। বাহলুল: হ্যা, আমার তিনটি অভাব আছে, এগুলো যদি তুমি পূরণ করতে পার তবে সারা জীবন তোমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করব।
বাদশাহ: তুমি নিঃসঙ্কচে চাইতে পার।
বাহলুল: মরণের সময় হলে আমার আয়ূ বৃদ্ধি করতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: আমাকে মৃত্যুর ফেরেশতা থেকে রক্ষা করতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: আমাকে জান্নাতে স্থান করে দিতে হবে এবং জাহান্নাম থেকে আমাকে দূরে রাখতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: তবে জেন রাখ,
তুমি বাদশাহ নও বরং
তুমি অন্য কারও অধীনস্থ। অতএব তোমার কাছে আমার কোন চাওয়া বা প্রার্থনা নেই।
আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো দুটি শিক্ষনীয় গল্প,,,
আব্বাসী খলীফা হারুনুর রশীদ (৭৬৩-৮০৯খ্রি.) এর শাসন আমলে (৭৮৬-৮০৯খ্রি.) বাহলুল নামে এক পাগল ছিল।
তিনি যদিও পাগল ছিলেন না। তিনি ছিলেন তখনকার সময়ের জ্ঞানী একজন ব্যাক্তি। কিন্তু তিনি অভিনয় করতেন পাগল সাজার। কারন তাকে খলিফা হারুনুর রশীদ চেয়েছিলেন বিচারকের দায়িত্ব দিতে। কিন্তু তিনি এ দায়িত্ব গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতেই পাগলের ভাণ ধরেন।
আব্বাসীয় খলীফা হারুনুর রশীদের সাথে ঘটে যাওয়া যে শিক্ষনীয় ঘটনা আজো ইতিহাসের পাতায় বয়ে বেরাচ্ছে। তা আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করবো।
বহলুল পাগল যিনি যে অধিকাংশ সময় কবরস্থানে কাটাতো।
কবরস্থানে থাকা অবস্থায় একদিন বাদশাহ হারুনুর রশীদ তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
বাদশাহ তাকে ডাক দিলেন: বাহলুল! ওই পাগল! তোর কি আর জ্ঞান ফিরবে না?
বাহলুল বাদশাহর এ কথা শুনে নাচতে নাচতে গাছের উপরের ডালে চড়লেন এবং সেখান থেকে ডাক দিল-
হারুন! ওই পাগল!
তোর কি কোনদিন জ্ঞান ফিরবে না?
বাদশাহ গাছের নিচে এসে বাহলুলকে বললেন, আমি পাগল নাকি তুই, যে সারা দিন কবরস্থানে বসে থাকে?
বাহলুল বলল, আমিই বুদ্ধিমান।
বাদশাহ: কীভাবে?
বাহলুল রাজপ্রাসাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বললেন, আমি জানি এই রঙ্গীলা দালান ক্ষণিকের আবাসস্থল, এবং এটি (কবরস্থান) স্থায়ী নিবাস;এজন্য আমি মরার পূর্বেই এখানে বসবাস শুরু করেছি। অথচ তুই গ্রহণ করেছিস ঐ রঙ্গশালাকে আর এই স্থায়ীনিবাসকে (কবর) এড়িয়ে চলছিস। রাজপ্রসাদ থেকে এখানে আসাকে অপছন্দ করছিস ,যদিও তুই জানিস এটাই তোর শেষ গন্তব্য।
এবার বল, আমাদের মধ্যে কে পাগল?
বাহলুলের মুখে এ কথা শোনার পর বাদশাহর অন্তর কেঁপে উঠল, তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁর দাড়ি ভিজে গেল।
তিনি বললেন: খোদার কসম! তুমিই সত্যবাদী।
আমাকে আরও কিছু উপদেশ দাও!
বাহলুল: তোমার উপদেশের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট। তাকে যথার্থভাবে আকড়ে ধর।
বাদশাহ: তোমার কোন কিছুর অভাব থাকলে আমাকে বল, আমি তা পূরণ করব। বাহলুল: হ্যা, আমার তিনটি অভাব আছে, এগুলো যদি তুমি পূরণ করতে পার তবে সারা জীবন তোমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করব।
বাদশাহ: তুমি নিঃসঙ্কচে চাইতে পার।
বাহলুল: মরণের সময় হলে আমার আয়ূ বৃদ্ধি করতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: আমাকে মৃত্যুর ফেরেশতা থেকে রক্ষা করতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: আমাকে জান্নাতে স্থান করে দিতে হবে এবং জাহান্নাম থেকে আমাকে দূরে রাখতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: তবে জেন রাখ,
তুমি বাদশাহ নও বরং
তুমি অন্য কারও অধীনস্থ। অতএব তোমার কাছে আমার কোন চাওয়া বা প্রার্থনা নেই।
এ গল্পটি থেকে আমরা যদি শিক্ষা নেই তাহলেই এ গল্পটি পড়ার স্বার্থকতা অর্জিত হবে।
এছাড়াও আরো কিছু গল্প শোনা যায় যা সবই শিক্ষনীয়। সেটিও আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
একদিন খলীফা হারুনুর রশীদ খুব পিপাসার্ত
অবস্থায় তাঁর খাদেমের কাছে পানি চাইলেন।
বিখ্যাত বুযুর্গ বাহলূল (রাহ) খলীফার
কাছেই ছিলেন। খলীফা পানি পান করতে
যাবেন, এমন সময় বাহলূল বললেন, “জনাব,
একটু থামুন; আমার একটি প্রশ্ন আছে।”
খলীফা কিছুটা অবাক হয়ে পাত্র নামিয়ে
নিলেন।
বাহলূল প্রশ্ন করলেন, “প্রচন্ড পিপাসার
সময় এই এক পাত্র পানির জন্য আপনি কী
পরিমাণ সম্পদ খরচ করতে রাজি হবেন?”
একটু ভেবে খলীফা জবাব দিলেন “পিপাসা
যদি তীব্র হয় এবং যদি প্রাণনাশের
আশঙ্কা দেখা দেয়, তাহলে প্রয়োজনে
আমার সমস্ত রাজত্ব দিয়ে
হলেও এ পানিটুকু পেতে চাইব।”
বাহলূল বললেন, “ঠিক আছে। পান করুন।”
খলীফা পানি পান করার পর বাহলূল আবার
জিজ্ঞাসা করলেন, “হুজুর আরেকটি ছোট্ট
প্রশ্ন আছে।”
খলীফা বললেন, “বলুন।”
বাহলূল বললেন, “আপনি যে পানিটুকু পান
করলেন তা যদি আপনার শরীরে
আটকে থাকে (অর্থাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে
যায়) তাহলে তা বের করার জন্য কী
পরিমাণ ব্যয় করবেন?”
খলীফা বললেন, “এমন যন্ত্রণা থেকে
মুক্তি পেতে প্রয়োজনে আমার সমস্ত
রাজত্ব দিয়ে দেব।”
এবার বাহলূল বললেন, “হুজুর! এই
রাজত্বের কী মূল্য, যা এক পাত্র পানির পান
করার জন্য এবং এক পাত্র পানি শরীর
থেকে বের করার জন্য চলে যায়!”
অর্থাৎ এটি আল্লাহ তাআলার এত বড়
নেয়ামত, যার কাছে বিশাল রাজত্বও অতি
তুচ্ছ।
আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো দুটি শিক্ষনীয় গল্প,,,
আব্বাসী খলীফা হারুনুর রশীদ (৭৬৩-৮০৯খ্রি.) এর শাসন আমলে (৭৮৬-৮০৯খ্রি.) বাহলুল নামে এক পাগল ছিল।
তিনি যদিও পাগল ছিলেন না। তিনি ছিলেন তখনকার সময়ের জ্ঞানী একজন ব্যাক্তি। কিন্তু তিনি অভিনয় করতেন পাগল সাজার। কারন তাকে খলিফা হারুনুর রশীদ চেয়েছিলেন বিচারকের দায়িত্ব দিতে। কিন্তু তিনি এ দায়িত্ব গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতেই পাগলের ভাণ ধরেন।
আব্বাসীয় খলীফা হারুনুর রশীদের সাথে ঘটে যাওয়া যে শিক্ষনীয় ঘটনা আজো ইতিহাসের পাতায় বয়ে বেরাচ্ছে। তা আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করবো।
বহলুল পাগল যিনি যে অধিকাংশ সময় কবরস্থানে কাটাতো।
কবরস্থানে থাকা অবস্থায় একদিন বাদশাহ হারুনুর রশীদ তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
বাদশাহ তাকে ডাক দিলেন: বাহলুল! ওই পাগল! তোর কি আর জ্ঞান ফিরবে না?
বাহলুল বাদশাহর এ কথা শুনে নাচতে নাচতে গাছের উপরের ডালে চড়লেন এবং সেখান থেকে ডাক দিল-
হারুন! ওই পাগল!
তোর কি কোনদিন জ্ঞান ফিরবে না?
বাদশাহ গাছের নিচে এসে বাহলুলকে বললেন, আমি পাগল নাকি তুই, যে সারা দিন কবরস্থানে বসে থাকে?
বাহলুল বলল, আমিই বুদ্ধিমান।
বাদশাহ: কীভাবে?
বাহলুল রাজপ্রাসাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বললেন, আমি জানি এই রঙ্গীলা দালান ক্ষণিকের আবাসস্থল, এবং এটি (কবরস্থান) স্থায়ী নিবাস;এজন্য আমি মরার পূর্বেই এখানে বসবাস শুরু করেছি। অথচ তুই গ্রহণ করেছিস ঐ রঙ্গশালাকে আর এই স্থায়ীনিবাসকে (কবর) এড়িয়ে চলছিস। রাজপ্রসাদ থেকে এখানে আসাকে অপছন্দ করছিস ,যদিও তুই জানিস এটাই তোর শেষ গন্তব্য।
এবার বল, আমাদের মধ্যে কে পাগল?
বাহলুলের মুখে এ কথা শোনার পর বাদশাহর অন্তর কেঁপে উঠল, তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁর দাড়ি ভিজে গেল।
তিনি বললেন: খোদার কসম! তুমিই সত্যবাদী।
আমাকে আরও কিছু উপদেশ দাও!
বাহলুল: তোমার উপদেশের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট। তাকে যথার্থভাবে আকড়ে ধর।
বাদশাহ: তোমার কোন কিছুর অভাব থাকলে আমাকে বল, আমি তা পূরণ করব। বাহলুল: হ্যা, আমার তিনটি অভাব আছে, এগুলো যদি তুমি পূরণ করতে পার তবে সারা জীবন তোমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করব।
বাদশাহ: তুমি নিঃসঙ্কচে চাইতে পার।
বাহলুল: মরণের সময় হলে আমার আয়ূ বৃদ্ধি করতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: আমাকে মৃত্যুর ফেরেশতা থেকে রক্ষা করতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: আমাকে জান্নাতে স্থান করে দিতে হবে এবং জাহান্নাম থেকে আমাকে দূরে রাখতে হবে।
বাদশাহ: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলুল: তবে জেন রাখ,
তুমি বাদশাহ নও বরং
তুমি অন্য কারও অধীনস্থ। অতএব তোমার কাছে আমার কোন চাওয়া বা প্রার্থনা নেই।
এ গল্পটি থেকে আমরা যদি শিক্ষা নেই তাহলেই এ গল্পটি পড়ার স্বার্থকতা অর্জিত হবে।
এছাড়াও আরো কিছু গল্প শোনা যায় যা সবই শিক্ষনীয়। সেটিও আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
একদিন খলীফা হারুনুর রশীদ খুব পিপাসার্ত
অবস্থায় তাঁর খাদেমের কাছে পানি চাইলেন।
বিখ্যাত বুযুর্গ বাহলূল (রাহ) খলীফার
কাছেই ছিলেন। খলীফা পানি পান করতে
যাবেন, এমন সময় বাহলূল বললেন, “জনাব,
একটু থামুন; আমার একটি প্রশ্ন আছে।”
খলীফা কিছুটা অবাক হয়ে পাত্র নামিয়ে
নিলেন।
বাহলূল প্রশ্ন করলেন, “প্রচন্ড পিপাসার
সময় এই এক পাত্র পানির জন্য আপনি কী
পরিমাণ সম্পদ খরচ করতে রাজি হবেন?”
একটু ভেবে খলীফা জবাব দিলেন “পিপাসা
যদি তীব্র হয় এবং যদি প্রাণনাশের
আশঙ্কা দেখা দেয়, তাহলে প্রয়োজনে
আমার সমস্ত রাজত্ব দিয়ে
হলেও এ পানিটুকু পেতে চাইব।”
বাহলূল বললেন, “ঠিক আছে। পান করুন।”
খলীফা পানি পান করার পর বাহলূল আবার
জিজ্ঞাসা করলেন, “হুজুর আরেকটি ছোট্ট
প্রশ্ন আছে।”
খলীফা বললেন, “বলুন।”
বাহলূল বললেন, “আপনি যে পানিটুকু পান
করলেন তা যদি আপনার শরীরে
আটকে থাকে (অর্থাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে
যায়) তাহলে তা বের করার জন্য কী
পরিমাণ ব্যয় করবেন?”
খলীফা বললেন, “এমন যন্ত্রণা থেকে
মুক্তি পেতে প্রয়োজনে আমার সমস্ত
রাজত্ব দিয়ে দেব।”
এবার বাহলূল বললেন, “হুজুর! এই
রাজত্বের কী মূল্য, যা এক পাত্র পানির পান
করার জন্য এবং এক পাত্র পানি শরীর
থেকে বের করার জন্য চলে যায়!”
অর্থাৎ এটি আল্লাহ তাআলার এত বড়
নেয়ামত, যার কাছে বিশাল রাজত্বও অতি
তুচ্ছ।
র্থকতা অর্জিত হবে।
এছাড়াও আরো কিছু গল্প শোনা যায় যা সবই শিক্ষনীয়। সেটিও আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
একদিন খলীফা হারুনুর রশীদ খুব পিপাসার্ত
অবস্থায় তাঁর খাদেমের কাছে পানি চাইলেন।
বিখ্যাত বুযুর্গ বাহলূল (রাহ) খলীফার
কাছেই ছিলেন। খলীফা পানি পান করতে
যাবেন, এমন সময় বাহলূল বললেন, “জনাব,
একটু থামুন; আমার একটি প্রশ্ন আছে।”
খলীফা কিছুটা অবাক হয়ে পাত্র নামিয়ে
নিলেন।
বাহলূল প্রশ্ন করলেন, “প্রচন্ড পিপাসার
সময় এই এক পাত্র পানির জন্য আপনি কী
পরিমাণ সম্পদ খরচ করতে রাজি হবেন?”
একটু ভেবে খলীফা জবাব দিলেন “পিপাসা
যদি তীব্র হয় এবং যদি প্রাণনাশের
আশঙ্কা দেখা দেয়, তাহলে প্রয়োজনে
আমার সমস্ত রাজত্ব দিয়ে
হলেও এ পানিটুকু পেতে চাইব।”
বাহলূল বললেন, “ঠিক আছে। পান করুন।”
খলীফা পানি পান করার পর বাহলূল আবার
জিজ্ঞাসা করলেন, “হুজুর আরেকটি ছোট্ট
প্রশ্ন আছে।”
খলীফা বললেন, “বলুন।”
বাহলূল বললেন, “আপনি যে পানিটুকু পান
করলেন তা যদি আপনার শরীরে
আটকে থাকে (অর্থাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে
যায়) তাহলে তা বের করার জন্য কী
পরিমাণ ব্যয় করবেন?”
খলীফা বললেন, “এমন যন্ত্রণা থেকে
মুক্তি পেতে প্রয়োজনে আমার সমস্ত
রাজত্ব দিয়ে দেব।”
এবার বাহলূল বললেন, “হুজুর! এই
রাজত্বের কী মূল্য, যা এক পাত্র পানির পান
করার জন্য এবং এক পাত্র পানি শরীর
থেকে বের করার জন্য চলে যায়!”
অর্থাৎ এটি আল্লাহ তাআলার এত বড়
নেয়ামত, যার কাছে বিশাল রাজত্বও অতি
তুচ্ছ।

Comments

Popular posts from this blog

কে ছিলেন শেখ এদেবালি রহঃ

শৈশবের কিছু কথা